প্রতিদিনের বাংলার প্রতিচ্ছবি : আগামী বছরের ২৯ মার্চ থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। থাই প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল দেশটির নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠকের পর শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এর আগে বলেছিলেন, তিনি জানুয়ারির শেষের দিকে সংসদ ভেঙে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন, মার্চ মাসে অথবা এপ্রিলের শুরুতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা প্যারাদোর্ন প্রিসানানান্তাকুল বলেন, ‘সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করছে। সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ ২৯ মার্চ।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পাশাপাশি একইদিন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে দেশজুড়ে গণভোট হবে। একটি হলো থাইল্যান্ডে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা উচিত কিনা আর অন্যটি হলো কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত চুক্তি বাতিল করা উচিত কিনা।
থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইত্তিপর্ন বুনপ্রাকং বলেন, ভোটগ্রহণ ছাড়াও দুটি গণভোট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলেছে। ভোটগ্রহণের দিনই সম্ভবত দুটি ইস্যুতে গণভোট হতে পারে।
গত জুনে কম্বোডিয়ার এক সিনিয়র নেতাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে জুলাই মাসের শুরুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে। পরে ২৯ আগস্ট দেশটির সাংবিধানিক আদালতও পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পক্ষে রায় দেয়। পরে ৫ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ডানপন্থি ধনকুবের ব্যবসায়ী অনুতিন চার্নভিরাকুল।