বাংলার প্রতিচ্ছবি : বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদরে এর পরিমাণ ছয় হাজার কোটি টাকার কিছুটা বেশি।
আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে এই অর্থ খরচ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এই অর্থসহায়তা মূলত সরকারি রাজস্ব সংগ্রহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, করনীতির স্বচ্ছতা, ব্যাংকিং খাতের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা জোরদার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি সেবায় ই-প্রকিউরমেন্ট চালুর মতো সংস্কারমূলক পদক্ষেপে খরচ করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে। ৩০ জুনের আগেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির বাজেট সহায়তার অর্থ হাতে পাবে বাংলাদেশ। এর মানে, ৩০ জুনের আগে প্রায় ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী সোমবার ঋণের দুই কিস্তির অর্থও অনুমোদন হতে পারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বোর্ড সভায়। কিস্তি অনুমোদন হলে সেখান থেকে মিলতে পারে আরও ১৩০ কোটি ডলার। অনুমোদনের দুই সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ বাংলাদেশ পাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন জরুরি। এই অর্থায়ন দেশের নীতিমালাকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের আওতায় যেসব মূল উদ্যোগ হবে—জাতীয় সংসদের মাধ্যমে কর অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্যে আনা; ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা; ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন জনগণের সামনে উন্মুক্ত করার কৌশল প্রণয়ন; সরকারি কেনাকাটায় ই-জিপি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি দরপত্র প্রক্রিয়ার আরও প্রতিযোগিতামূলক করা।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা বলেন, এই অর্থায়ন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে নাগরিকদের চাহিদা পূরণে সরকারকে সহায়তা করবে। পাশাপাশি দুর্যোগ বা অর্থনৈতিক ধাক্কায় দরিদ্র পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা নিশ্চিত করবে।