ঢাকা | ২১ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকর্মীদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে

প্রকাশের তারিখ: মে ২৪, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : রংপুরে তথ্য অধিদফতরের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রমিজ আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের পদক্ষেপ ছিল অপরিসীম। গণমাধ্যম ওই সময় জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো, জনমত গঠন এবং আন্দোলনে জনসমর্থন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।

তিনি সংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, দেশে এমন সাংবাদিকতা ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে, যেখানে সব সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পিআইডির পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বলেন, তথ্য অধিদফতর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে স্মরণীয় করে রাখতে পিআইডির ওয়েবসাইটে রক্তস্নাত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ফটো অ্যালবাম তৈরি করেছে। সেখানে ৫ জুন থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পত্রিকার সফটকপি সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের গবেষণার কাজে লাগবে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণতন্ত্রই মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে। বিভিন্ন সময়ে মানুষ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। কিন্তু জনগণের অধিকার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এজন্য তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম কর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে মুক্ত ও সৃজনশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীকরণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করেছিল এই গণমাধ্যম। এজন্য গণমাধ্যমের উন্নয়নে সব ভেদাভেদ ভুলে তিনি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এজন্য গুজব প্রতিরোধ সেল আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। তথ্য অধিকার আইনের তথ্য প্রদানের সময়সীমা এবং আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা হ্রাসসহ সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য অধিদফতরের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আলী সরকার।

রংপুরের তথ্য অফিসার মো. ফরহাদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্য অধিদফতরের উপপ্রধান তথ্য অফিসার নাসরীন জাহান লিপি, উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ভূঁঞা, উপপ্রধান তথ্য অফিসার হাসিনা আক্তার, তথ্য অফিসার সানজীদা আমীন, তথ্য অফিসার আফসানা মিমি ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কমেন্ট বক্স