ঢাকা | ২১ জুন ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

চিরকুট লিখে এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যা, গৃহবিবাদের কারণেই ঘটেছে ধারণা ভাইয়ের

চট্টগ্রামের র‌্যাব-৭ কার্যালয় থেকে পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

প্রকাশের তারিখ: মে ৮, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে র‌্যাব-৭-এর কার্যালয় থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। 

এএসপি পলাশ সাহা নিজের ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন।

পলাশ সাহার মেঝ ভাই নন্দলাল সাহা সাংবাদিকদের বলেন, দুই বছর আগে ফরিদপুরের চৌধুরীপাড়ায় পলাশ বিয়ে করেন। বিয়ের ছয়-সাত মাস পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। প্রাই-সময় কলহ লেগেই থাকত। পলাশ তার স্ত্রী ও মা দুজনকেই ভালবাসতেন।
“বুধবার সকালেও তাদের মধ্যে কলহ হয়। বোধহয় এ কারণেই পলাশ আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের ধারণা।”

চিরকুটে মৃত্যুর জন্য নিজেকে ছাড়া আর কেউ দায়ী করেননি পলাশ সাহা; তিনি বিসিএস ৩৭ ব্যাচের ক্যাডার।

চিরকুটে লেখা আছে, “আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী, কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না।” ওই চিরকুটে নিজের মাকে দেখে রাখার কথাও লিখে গেছেন ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

তিনি লিখেছেন, “বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের উপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।”

র‌্যাব-৭ এর হোয়াটসআপ গ্রুপে এক বার্তায় বলা হয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অস্ত্র ইস্যু করে নিজের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন।

“কিছু সময় পর গুলির শব্দ শুনে দায়িত্বরত অন্যান্য র‌্যাব সদস্যরা সেখানে গিয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুপার পলাশ সাহাকে পড়ে থাকতে দেখেন।”
কমেন্ট বক্স