বাংলার প্রতিচ্ছবি : ৩৬ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আধুনিক ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে একটা স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা। রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠন করেনি। এই কমিশন গঠন জরুরি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বাংলাদেশ ২.০ জাতীয় বাজেট ২০২৫-২৬: সশস্ত্র বাহিনী সংস্কারে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজক নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিস (এনডিজে)।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্টের পর আট মাস পেরিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু সশস্ত্র বাহিনীর সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করেনি।
বিগত আমলে সামরিক বাহিনীকে নানাভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক এম শাহীদুজ্জামান। তিনি সশস্ত্র বাহিনী সংস্কারের বিষয়ে জোর দেন।
বেসরকারি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এটি হলে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কাজ করবেন না।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নেক্সাস ডিফেন্স অ্যান্ড জাস্টিসের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করেছে। পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে পিলখানায় হত্যা করেছে। পাঁচ শতাধিক সেনা কর্মকর্তা ও সহস্রাধিক সৈনিককে চরম অন্যায়-অবিচারের মাধ্যমে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। সামরিক বাহিনীর অতীতের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনতে সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
সেমিনারে দেশের তরুণ সমাজ ও সীমান্তের জনগণকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। বলা হয়, ১৮ বছরের যুবকদের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দিলে তাঁদের মাঝে দেশপ্রেম বৃদ্ধি পাবে।