নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় পারিবারিক অভিমানে টিয়া বিশ্বাস (২২) নামের এক অনার্স পড়ুয়া কলেজছাত্রী ঘাসমারা বিষাক্ত ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টিয়া স্থানীয় ব্রাহ্মণডাঙ্গা কালী পূজার মেলায় যেতে চেয়েছিলেন। তবে পরিবার একা যেতে নিষেধ করলে তিনি অভিমানে বাবার জমিতে ব্যবহৃত ঘাসনাশক ওষুধ পান করেন। অচেতন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টিয়া মারা যান। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সহপাঠীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকাবাসী জানান, টিয়া ছিলেন মেধাবী ও হাসিখুশি স্বভাবের মেয়ে। তিনি বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা শচীন চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলার ভান্ডারখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনা সম্পর্কে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি আমরা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করছি।”
সচেতনতার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় শিক্ষক ও সমাজকর্মীরা বলেন, পারিবারিক যোগাযোগের অভাব ও মানসিক অস্থিরতার কারণেই অনেক তরুণ-তরুণী চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পরিবার ও সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে যেন ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যায়।