ঢাকা | ১৬ Jul ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে দফায় দফায় বাস চলাচল বন্ধ

বেহাল দশা সড়কের

প্রকাশের তারিখ: Jul ১৬, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে সড়কের বেহাল দশায় তিন দিনে দুই দফায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় চরম দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, খুলনা থেকে পাইকগাছার দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার এবং পাইকগাছা থেকে কয়রার দূরত্ব আরও ৩৩ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ রুটে প্রতিদিন চলাচল করে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার শতাধিক যানবাহন। তবে সড়কের করুণ অবস্থার কারণে এসব যানবাহনের চলাচল এখন ভয় আর দুর্ভোগের নামান্তর।

আগে থেকেই খারাপ অবস্থায় থাকা সড়কটি এখন পরিণত হয়েছে চরম বেহালে। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় বন্ধ হয়ে গেছে বাস চলাচল, এতে দুর্ভোগের চূড়ান্তে পৌঁছেছেন কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে চুকনগর পর্যন্ত অন্তত ৫টি স্থানে তিন কিলোমিটারেরও বেশি পথ চরম বাজে অবস্থায় রয়েছে। সড়কটি আগে থেকেই ভাঙা, গর্তে ভরা ছিলো। আর বৃষ্টির পর তা চরম খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনই এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে একাধিক স্থানে। বিশেষ করে বড় বাস বা ট্রাক উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটছে প্রতিদিনই।

খুলনা থেকে পাইকগাছা পরিবহনের চালক আসলাম আলী বলেন, ‘এভাবে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। আগে যেখানে খুলনা থেকে মাত্র এক ঘণ্টায় পাইকগাছায় পৌঁছাতে পারতাম, এখন তিন ঘণ্টায়ও সম্ভব হয় না। আর বাসে যন্ত্রপাতির যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, তাতে গাড়ি আর গাড়ি থাকে না।’

এই বাসের যাত্রী শ্যামল কুমার বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনায় এসেছিলাম। খুলনায় আসার পথে কয়েকবার বাস পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। এখন ফিরে যাচ্ছি, জানি না কি হবে?’

সংশ্লিষ্টরা জানান, চুকনগরের পর থেকে কপিলমুনি পর্যন্তও সড়কের বেহাল দশা। ফকিরবাসা মোড়, মুচির পুকুর, তালা থানা ও গোলাবাটীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বড় গর্তে আটকে যাচ্ছে ট্রাক-বাসসহ অন্যান্য যানবাহন। ট্রাক আটকে থাকায় একাধিকবার বাস চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিক ও শ্রমিক সংগঠন। ফলে বাসস্ট্যান্ডে এসে যাত্রীরা পড়ছেন তীব্র বিপাকে। কেউ কেউ দ্বিগুণ ভাড়ায় মোটরসাইকেল, মাহিন্দ্রা বা ইজিবাইক ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা নিয়মিত সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সড়কটির যেসব স্থানে গর্ত হয়েছে তা মেরামত করছি। খুব দ্রুতই বড় দুটি প্রকল্পে সড়কটির উন্নয়ন করা হবে।

খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির তথ্য মতে, খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতিদিন চলে প্রায় ১২০টি আন্তঃজেলা বাস ও ৭০টি দূরপাল্লার গাড়ি। এদের অনেকগুলোকেই রাস্তার গর্তে আটকে পড়তে হচ্ছে।

কমেন্ট বক্স