ঢাকা | ১২ Jul ২০২৫ ইং | বঙ্গাব্দ

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে ৬ কিমি পায়ে হেঁটে বিক্ষোভ

প্রকাশের তারিখ: Jul ১২, ২০২৫ ইং

ছবির ক্যাপশন:
ad728
বাংলার প্রতিচ্ছবি : রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল নিয়ে ৬ কিলোমিটার হেঁটে শহরের প্রধান সড়কগুলো অতিক্রম করে এক ঘণ্টা পর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্রশিবির, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্র-জনতা। মুখে ক্ষোভে ভরা স্লোগানে তারা সোহাগ হত্যার বিচার দাবি করেন। এছাড়া মিছিলকারীরা ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘হত্যা করার অধিকার কে দিল রে জানোয়ার?’সহ নানা স্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ পালানোর পর তাদের ফাঁকা জায়গা দখল করেছে একটি নতুন দল। এক বছরেই তারা সারা দেশে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি ও খুনোখুনির মাধ্যমে জনগণের জীবনে ভয়ংকর অনিরাপত্তা তৈরি করেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর জেলা কমিটির সদস্যসচিব আশফাক আহমেদ জামিল বলেন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করার জন্য জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা রক্ত দেয়নি। ঢাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ব্যবসায়ীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগকে হার মানিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে। এবং যারা চাঁদাবাজি ও দখলদারি শুরু করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি না করলে এদেশের ছাত্র-জনতা আবারও রাজপথে নামবে।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর কবির বলেন, পাঁচ আগস্টের পর নব্য-ফ্যাসিবাদের কায়দায় যারা দখলদারি, টেন্ডারবাজি ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তারা নিজেদের রাষ্ট্রের মালিক ভাবা শুরু করেছে। তাদের হুঁশিয়ারি করতেই আজকের এ বিক্ষোভ মিছিল।

মিছিল ঘিরে রংপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। তবে গোটা পথজুড়েই ছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নজরদারি।
কমেন্ট বক্স