বাংলার প্রতিচ্ছবি : পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ওয়ানডের ভরাডুবি যেন অপ্রত্যাশিত ছিল না, তবে তবু এটি ছিল হতাশাজনক। ৯৯ রানের পরাজয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের স্থায়ী দায়িত্বের শুরুটাই হলো গ্লানির সঙ্গে। তবু মিরাজ আশার আলো দেখছেন তরুণদের মধ্যে।
পুরস্কার বিতরণীতে এসে অধিনায়ক মিরাজ জানালেন, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো আশাবাদী তিনি। বললেন, ‘আমাদের দল এখনো তরুণ, কিছু খেলোয়াড় নতুন এসেছে। আমরা সবসময় ইতিবাচক জিনিসটাই ভাবি। সময় দরকার। যদি তাদের সুযোগ দেন, একদিন হয়তো তারা ভালো খেলবে।’
এই সিরিজে অভিষেক হয়েছে পারভেজ হোসেন ও তানভীর ইসলামের। যদিও দলে রয়েছেন দীর্ঘদিন খেলা তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাসের মতো অভিজ্ঞরাও। এমনকি মিরাজ নিজেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় এক দশকের কাছাকাছি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। তবু ধারাবাহিকতা অধরাই রয়ে গেছে।
শেষ ওয়ানডেতে লক্ষ্য তাড়ায় ২০ ওভার পর্যন্ত ১০২ রানে ৩ উইকেট পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ ছিল না। কিন্তু সেখান থেকে ৮১ রানের ব্যবধানে গুটিয়ে যায় বাকি ৭ উইকেট। মাঝের ওভারগুলোতে কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি, সেটাই বড় কারণ হিসেবে দেখছেন মিরাজ।
‘আমাদের কিছু ভুল হয়েছে, মাঝের ওভারগুলোতে জুটি গড়তে পারিনি। শুরুতেও হয়নি। এখানেই সমস্যা হয়েছে।’
নিজে ২৮ রান করা মিরাজ জানালেন, জয় যে একদমই অসম্ভব মনে হচ্ছিল, তা নয়। হৃদয়ের সঙ্গে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তারা।
‘আমি ও হৃদয় আলোচনা করছিলাম, ইতিবাচক খেলতে হবে। সুযোগ পেলে জয়ের দিকেই যাব। শেষ ১০ ওভারে চেষ্টা করেছিলাম।’
সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ড্রেসিংরুমে নিঃসন্দেহে হতাশা জমাট। তবে তরুণদের নিয়ে মিরাজের এ আশাবাদ ‘সুযোগ দেন, একদিন হয়তো তারা ভালো খেলবে’ হতাশার মাঝেও যেন একটু স্বপ্নের বাতি জ্বেলে দেয়।