বাংলার প্রতিচ্ছবি : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আলোচনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে ঢাকা। সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন ইউএস অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ। বৈঠকে দুই পক্ষই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
শনিবার (২৮ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের (আঙ্কটাড) সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. খলিলুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। দুপক্ষই দ্রুততার সঙ্গে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত ২ এপ্রিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও পরে এই শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, যা আগামী ৯ জুলাই শেষ হতে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
বাংলাদেশ সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি খসড়া চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের পাল্টা প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাবে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে, পারস্পরিক শুল্কের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব ছিল, বাংলাদেশকে তাদের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আইন মেনে চলতে হবে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করে ঢাকা।