বাংলার প্রতিচ্ছবি : স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে এনামুল হক বিজয়সহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম মিডিয়ায় এসেছে। দুইদিন আগে এমন খবরের মাঝেই শনিবার সকালে রটে যায়, এই ব্যাটারকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সারা দিনে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যার পর বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞিপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত তারা কিংবা অ্যান্টি করাপশন ইউনিট নেয়নি। তবে স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বিপিএলের চলতি আসরে একাধিক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু করেছে। একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী টপ অর্ডার ব্যাটার বিজয়সহ ৯ জন ক্রিকেটার আছেন এই তালিকায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যে কোনোরকম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে, ‘বোর্ড খেলায় সততা এবং চেতনা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিসিবি অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আইসিসির দুর্নীতি দমন কোড কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য করে। এই ব্যাপারে বিসিবি কোনও প্রকার আপস করছে না।’
সাম্প্রতিক স্পট ফিক্সিং নিয়ে প্রকাশিত খবরের বিষয়গুলো যাচাই করতে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়, ‘বিসিবি দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ) স্পট ফিক্সিং ইস্যুতে পর্যবেক্ষণ করছে, যথাযথ গোপনীয়তা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সেগুলি মোকাবেলা করছে। চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, বিসিবি একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে যাচ্ছে। যা কিনা অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (এসিইউ-কে) তার তদন্তে আরও সহায়তা করবে। বিসিবি একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ক্রিকেট পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বাংলাদেশে খেলাধুলার অখণ্ডতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।’